চট্টগ্রামে বুধবার (১৮ জুন, ২০২৫) সন্ধ্যায় ‘Destination Nepal: From the Bay of Bengal to the Himalayas’ শীর্ষক নেপাল-বাংলাদেশ ট্যুরিজম মিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেপাল দূতাবাস ও নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দুই দেশের পর্যটন সম্পর্ক জোরদারে নানা দিক তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, “পর্যটন এবং মানুষে-মানুষে সম্পর্ক দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করছে। হিমালয়ের উচ্চতা ও বঙ্গোপসাগরের গভীরতার মধ্যে প্রকৃত সংযোগ গড়তে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
তিনি নেপালের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নের বর্তমান প্রচেষ্টা তুলে ধরেন এবং নেপালকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে ভ্রমণ ও ট্যুর অপারেটরদের অবদানের প্রশংসা করেন।

নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের ট্যুরিজম মার্কেটিং ও প্রমোশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোহিনী প্রসাদ খানাল অনুষ্ঠানে নেপালের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশকে নেপালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সোর্স মার্কেট হিসেবে উল্লেখ করে আরও বেশি পর্যটন সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন।
২০২৪ সালে সফলভাবে মাউন্ট এভারেস্ট এবং সম্প্রতি মাউন্ট অন্নপূর্ণা জয় করা পর্বতারোহী বাবর আলী তার নেপাল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (ATAB) ও ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (TOAB)-এর নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী পর্যটন সহযোগিতা ও ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীরা নেপালি লোকসংগীত পরিবেশন করেন, যা অতিথিদের মাঝে নেপালের সংস্কৃতি সম্পর্কে উন্মুক্ত ধারণা সৃষ্টি করে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল র্যাফেল ড্র, যেখানে বিজয়ীদের জন্য ঢাকা–কাঠমান্ডু রাউন্ড ট্রিপ এয়ার টিকিট ও ভ্রমণ প্যাকেজ স্পনসর করে হিমালয় এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং নেপালি ট্যুর এজেন্সিগুলো।

আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে, নেপাল ও বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে B2B সেশনের মাধ্যমে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আলোচনা হয়।
নেপাল থেকে আগত প্রতিনিধিদলে ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা এবং ১৩টি ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ATAB, TOAB, হোটেল, এয়ারলাইনস ও অন্যান্য পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতের মোট ১২০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।