ঢাকায় অবস্থিত কসোভো প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসে মঙ্গলবার (৮ জুলাই ২০২৫) এক বিশেষ সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন গ্রামীণ গ্রুপ এবং গ্রামীণ ট্রাস্টের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত লুলজিম প্লানা (Lulzim Pllana) এই প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ কসোভো প্রকল্পের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ, যারা ২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত কসোভোর পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
আলোচনায় প্রতিনিধিরা কসোভোতে তাদের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেন এবং কীভাবে মাইক্রোক্রেডিট ও সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ দেশটির পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছিল, তা তুলে ধরেন। দুই দেশের প্রতিনিধি দলই সামাজিক ব্যবসা, কারিগরি শিক্ষা এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য খাতে নতুন করে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” দর্শন—দারিদ্র্য শূন্য, বেকারত্ব শূন্য এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্য—এবং এই দর্শনের আলোকে কসোভো-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বকে ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি।
প্রতিনিধিদলের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ, যিনি গ্রামীণ কসোভোর শুরুর পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়া গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আশরাফুল হাসান ও তার সহযোগীরাও উপস্থিত ছিলেন, যারা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কসোভোর প্রকল্প বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত প্লানা তাঁদের উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গ্রামীণ গ্রুপের অব্যাহত সহযোগিতাকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।