বাংলাদেশে আরব প্রজাতন্ত্র মিশরের দূতাবাস সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণভাবে মিশরের জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন করে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে আমি মিশর সরকারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। তৈরি পোশাক, কৃষি, পর্যটন, তুলা আমদানি এবং বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে আমরা গঠনমূলক সহযোগিতা উপভোগ করেছি। বাংলাদেশে মানুষ ছোটবেলা থেকেই মিশরের গৌরবময় ইতিহাস ও ইসলামি সভ্যতার গল্প শুনে বড় হয়। আমি আশাবাদী, আমাদের দ্বিপাক্ষিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ–মিশর সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মিশর ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং ইসলামি ঐক্যের ভিত্তিতে একে অপরের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বর্তমানে অনেক মিশরীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি মিশরের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ। তিনি বলেন, আমি এমন এক সময়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি যখন আমাদের বিচার বিভাগ এক অভূতপূর্ব রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট—জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, বিচার প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং একটি কার্যকর সাংবিধানিক অঙ্গ হিসেবে কাজ করা।

এই অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন। সকলে মিলে বাংলাদেশ ও মিশরের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।