বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী “যুব ডিভিডেন্ড” ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই, ২০২৫) ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (BIISS) এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (IUB) গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিভাগ যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশে বিরাজমান ‘যুব বাল্ক’ একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করে জাতীয় উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে তাদেরকে রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, নীতি প্রণয়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, ডিজিটাল উদ্ভাবন, জলবায়ু কর্মসূচি ও সামাজিক ন্যায়ের ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এই ধারাকে ধরে রাখতে হলে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারী উভয় দেশের আসন্ন স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বলেন, স্থানীয় উদ্ভাবন ও যুব নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে এই উত্তরণকে টেকসই করা সম্ভব।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে যুব শক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।