সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বিশেষ বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “এখনই সময় বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার, যাতে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা বন্ধ করা যায়।”
সোমবার (২৫ আগস্ট ২০২৫) ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, নৈতিক ও আইনগত দায়বদ্ধতাকে এখন কার্যকর কর্মপরিকল্পনায় রূপান্তর করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে ইঙ্গিত দিয়েছে, সেটিকে অন্তত ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতি স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ফিলিস্তিনের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনের ন্যায্য সংগ্রামে বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজায় মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশাধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিশ্বাসযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় পথ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য ওআইসি কিংবা মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে যেকোনো উদ্যোগ এলে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ তা নিঃশর্তভাবে সমর্থন করবে।
ওআইসির বিশেষ বৈঠকের ফাঁকে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরিং মোদু এনজির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশি উপদেষ্টা। বৈঠকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে চলমান মামলার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তারা আগামী সময়ে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ সভা আয়োজনের বিষয়ে একমত হন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি শিগগিরই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাবেন।
উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব এম ফরহাদুল ইসলাম এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম জে এইচ জাবেদ।